• সারাদেশ

    প্রায় ৪০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত তিন ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে

      চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।। ২৬ অক্টোবর ২০২৩ , ৯:১০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজারে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে। হামুনের তান্ডবে কক্সবাজার সদরসহ উপকূলীয় বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার ঘর-বাড়ি উপড়ে গেছে। গাছ পড়ে ও দেয়াল ভেঙ্গে তিনের অধিক প্রাণহানি ঘটেছে। অনেকেই আবহাওয়া বার্তা ও ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবের মধ্যে তফাৎ লক্ষ্য করে সচেতন মহল আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ভুল বার্তার জন্য ধিক্কার জানানোর সাথে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন।
    বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, হামুনের আঘাতে প্রায় ৪০ হাজার কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ৩৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    জেলা প্রশাসক আরো জানান, হামুন অতিক্রমের ২৪ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও মোবাইল নের্টওয়াক সচল হয়েছে।জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে তিনজনের প্রাণহানিসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
    ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভায় দেয়ালচাপায় একজন, মহেশখালী ও চকরিয়ায় গাছ চাপায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন: কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭)।
    গতকাল মঙ্গলবার রাত ৭টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজারে আঘাত হানে। এতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়ে গাছপালা। একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় সড়কে বন্ধ যানবাহন চলাচল। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনেও উপড়ে পড়েছে গাছ। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

    আরও খবর

    Sponsered content