• জাতীয়

    এজলাস পক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ লিগ্যাল নোটিশ : সুপ্রিম কোর্ট

      নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১০:২৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচার অপসারণ চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এ নোটিশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি জানান, রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইন সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
    নোটিশে বলা হয়, দেশের সিংহভাগ আইন ও আদালতের ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো বিৃটিশ শাসনামলে তৈরি। আদালতে আসামি হাজিরার জন্য কাঠগড়ার প্রচলন ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়। তবে দুর্ধর্ষ আসামি, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করানো হতো। বিচার শেষে দোষীকে লোহার খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে, এমন ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বিচার চলাকালে আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দি করে রাখার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও সাধারণ আদালতের কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার প্রচলন নেই। আমাদের দেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে বিধান নেই। তবে কারা আইন, ১৮৯৪ এর ৫৬ ধারা মতে জেলে বন্দি কয়েদিকে সরকারের অনুমোদনক্রমে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করে রাখার বিধান রয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দি করে অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রিজামশন অব ইনোসেন্স ভঙ্গ করা হচ্ছে। যা একইসঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের পরিপন্থি
    নোটিশে আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি আইন, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও উচ্চ আদালতের নজিরগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও প্রিন্সিপাল অব প্রিজামশন অব ইনোসেন্সের পরিপন্থি। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচা অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।
    এ অবস্থায় সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদসহ আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার্থে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করা হবে- মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে নোটিশে।
    নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবীরা হলেন, অ্যাডভোকেট জিএম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো: জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো: মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

    আরও খবর

    Sponsered content