• সারাদেশ

    শ্যামনগরে পেশিশক্তি কাজে লাগিয়ে জলমহলে অবৈধ বালু ভরাটের অভিযোগ

      আজকের খবর ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:২৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মারুফ বিল্লাহ রুবেল,শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামে পেশিশক্তি কাজে লাগিয়ে কতিপয় দখলদার ভূমিদস্যু কর্তৃক জলমহল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। জলমহলটি রক্ষার্থে ওই এলাকার সচেতন মহল গত ২০শে ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু ও শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাঈদ এর সুপারিশকৃত একটি লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। অভিযোগে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অফিসের আদেশ-নিষেধ অমান্য ও বিচার কার্য নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খোশালখালী খাল/জলমহলে বালু ভরাট বন্ধের আবেদন করেন। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আসাদুজ্জামান এর উপর তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেন। সরকারি নির্দেশনা কে অমান্য করে বুধবার (৯ই জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম ও আব্দুল মালি গং খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে নিষিদ্ধ জায়গায় বালুভরা শুরু করে।
    সরকারি নির্দেশনা অপেক্ষা করে বালুভরাট করার বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে বালু উঠাচ্ছি। ওখান থেকে ভ্যানে করে বালু সরিয়ে নিব। অন্যদিকে আটুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, আমি বালু উত্তোলন করতে বলেছি এটা সম্পূর্ণ ফাও কথা। সে বেশি বোঝে ধরে ঘাপিয়ে দেন। আমি বলেছি বৈধতা থাকলে আপনি বালু উঠাতে পারবেন।
    উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি কোন জায়গা কোন প্রকার ভূমিদস্যু দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন খুবই কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেবে। আমি বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনলাম এখনই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের নায়েবকে ঘটনাস্থলে পাঠাচ্ছি।
    আটুলিয়া ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, স্যার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে আমি এই লোক পাঠিয়েছি। তিনি আরো বলেন এভাবে সমাধান হবে না ঘটনাস্থলে যে তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় সুধী সমাজ বলেন, জলমহলটি দীর্ঘদিনের ঝামেলা এটা নিদর্শন করা খুবই জরুরী। উপজেলা প্রশাসনের এমন তালবাহানায় দীর্ঘদিন দুটি পক্ষ দ্বারা ধারে ঘুরছে। এরই মধ্যে উভয় পক্ষ একটি করে মামলাও খেয়েছেন। এখনই এর নিষ্পত্তি না হলে ভবিষ্যতে খুন-জক্ষম হতে পারে। উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি যাতে এই সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করা হোক।

    আরও খবর

    Sponsered content