• সারাদেশ

    সিলেটে জোড়া খুনের মামলায় ৩ আসামির ফাঁসি

      সিলেট ব্যুরো ১৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১:১৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোলাবাজার ইউনিয়নের নয়াগাও চারমাইল মানিক মিয়ার ছেলে ও নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ কসবা এলাকার মৃত শমসির মিয়ার ছেলে ও
    সিলেট নগরের বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দ দুলাল মিয়া এবং সিলেট নগরের উপকন্ঠ গোয়াবাড়ি এলাকার ভোলা মিয়ার ছেলে ও নগরের কাজলশাহ রমিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া উজ্জল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় আরো ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

    যাবজ্জীবন সাজা দুজন হলেন-সিলেট নগরের কানিশাইল এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে বর্তমানে কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ বারজানটিলার শফিক উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ। পাশাপাশি রায়ে তাদের দু’জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরী থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ (১৯), এস এম তাপু মিয়া (৩৫) ও রাসেল আহমদকে (২৩) কে বা কারা কুপিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই চাদপুর হাজিগঞ্জের হারুনুর রশিদের ছেলে মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৮৫) জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি অত্র আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ১৮৯ মূলে রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষিদের সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content