• জাতীয়

    মেট্রোরেলের উদ্বোধনে – আগুন দিয়ে যারা পোড়াবে তাদের আগুনে ফেলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

      নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:২৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করলাম। এ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। তবে মেট্রোরেল ব্যবহারে আমাদের যত্নবান হতে হবে, যাতে করে এটির ক্ষতি না হয়।
    আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারণে আমি বারবার জীবন ফিরে পেয়েছি। আমিও বাবার মতো এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা এই দেশ গড়ে তুলছিলেন, সেই বাংলাদেশ আমি গড়তে চাই।

    বিএনপির আগুন সন্ত্রাস বন্ধ না হলে কিভাবে বন্ধ করতে হয় তা জানা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রতিরোধে কাঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে আগুন সন্ত্রাসীদের ধরে তাদের দেওয়া আগুনেই ফেলতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানামন্ত্রী।

    তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন করি আর বিএনপি ধ্বংস করে। তাদের কাজই হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা আর সব কিছু ধ্বংস করা। কেন ধ্বংস করবে এভাবে, তাদের কে অধিকার দিয়েছে। তারা তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে সৃষ্টি, কাজেই এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। এটা যদি বন্ধ করতে না পারে, কিভাবে বন্ধ করাতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। এটা আমরা ছাড়বো না। ঢাকাবাসীসহ আমি দেশবাসীকে আহ্বান করবো, যারা এইভাবে পোড়াবে, এই আগুন দিয়ে যারা পোড়াবে, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে, তবেই তাদের শিক্ষা হবে। আর তারা ভুলে গেছে তারা বাসে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দেয় সাধারণ মানুষের, তাদের গাড়ি নাই? তারা গাড়িতে চড়ে না? তাদের জিনিস পত্র নাই? জনগণ যদি সেগুলো পোড়াতে শুরু করে তখন তারা কোথায় যাবে কি করবে? সেটাও তাদের ভাবা উচিত। গতকাল শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রাজধানীর আরামবাগে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঢাকার মানুষের জন্য আমরা মেট্রোরেল নিয়ে এসেছি। যারা উত্তরায় বসবাস করেন তারা মাত্র ৪০ মিনিটে প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিল আসা যাওয়া করতে পারবেন। ইতোমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করছেন। আমি মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এ মেট্রোরেল বর্ধিত করেছি। সেটার কাজও চলছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল হবে। আকাশ রেল দেখলাম, এখন পাতাল রেল আমরা করব। সেটা নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে এমআরটি লাইন ফাইভ, অর্থাৎ পাতাল রেলের কাজ উদ্বোধন করে দিয়েছি। এটাও ঢাকাবাসীর জন্য উপহার আমি দিয়ে গেলাম। এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। এটার সমীক্ষা চলছে। মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য ১২ হাজার প্রকৌশলীর চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে চড়ে আমি এ অনুষ্ঠানে এসেছি। মেট্রোরেলটি ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্থ সামাজিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। আমাদের জয় বাংলা সেøাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনের একটি কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্টের সময় যারা সরকারে ছিল তারা জনগণের জন্য কিছুই করেনি।

    তিনি বলেন, আমরা দুই বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলাম। ৬ বছর জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। রেহানার পাসপোর্টও দেয়নি। আমি আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আমি এমন একটি সময় দেশে ফিরেছিলাম যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের ক্ষমতায় ছিল। প্রতিনিয়ত আমার ওপর আঘাত আসে। আমার নেতাকর্মীরা মানবঢাল রচনা করে বারবার আমাকে রক্ষা করে। সোনার বাংলাদেশ আমি গড়তে চাই। এ ঢাকার মানুষের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি মেট্রোরেল। যানজটে কষ্ট পেতে হবে না, রাস্তায় আটকে থাকতে হবে না। যারা চাকরিজীবী, যারা কর্মজীবী, ছাত্র-শিক্ষক সকলে, বিশেষ করে আমার মেয়েরা, নারীরা, নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এই মেট্রোরেলে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনে যাকে প্রার্থী দিই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবার নৌকা জিতবেই। নৌকা মার্কা পারে স্বাধীনতা দিতে, নৌকা মার্কাই পারে উন্নয়ন দিতে। আমি ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করব, একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেটা আমরা নির্ধারণ করব। যাকে মনোনয়ন দেব ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যেন আবারও আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এখনও অনেক উন্নয়নকাজ বাকি, সেগুলো যেন শেষ করতে পারি। কারণ, অগ্নি-সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এ দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, যে দেশকে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের কাজ। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। যাতে করে ঘাতকের দল বিএনপি-জামায়াত এ দেশের মানুষকে আর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে না পারে, আর দেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করতে না পারে। তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়ে এনেছি। খালেদা জিয়ার আমলে যা ছিল ৪১ শতাংশ, বর্তমানে তা ১৮ শতাংশ। হতদরিদ্র ছিল ২৫ শতাংশ, বর্তমানে আমরা ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশে আর হতদরিদ্র থাকবে না। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্কুলের ছেলে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি, বৃত্তি, গবেষণার জন্য টাকাণ্ড সবকিছুই আমরা দিয়ে যাচ্ছি। করোনার সময় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি, বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে ভাড়া করা বিমানে অনেক টাকা খরচ করে দেশে এনেছি।

    বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকে। আর বিএনপি কী পারে? শুধু ভোট চুরি, দেশের অর্থ চুরি, জনগণকে হত্যা করা। নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন। এই ২৮ অক্টোবর কী ঘটনা ঘটাল তারা! আপনারা একবার বলেন। কোনো মানুষ যার ভেতরে সামান্য মনুষ্যত্ব আছে তারা কি এমনভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করতে পারে? বিএনপির তাণ্ডবের মুখে পুলিশ পিছু হটে যায়। তারপরও তারা ওই পুলিশ সদস্যকে ধরে যেভাবে লাঠিপেটা করে হত্যা করল, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে যেভাবে অ্যাম্বুলেন্স পোড়াল, এমনকি তারা আমাদের নারী সদস্যদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। তারপরও পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।

    তিনি বলেন, শুধু এখনই নয়, এর আগেও একইভাবে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল তারা। রাজশাহীতে একজন পুলিশ সদস্যকে মাটিতে ফেলে হত্যার কথা স্মরণ রাখা দরকার। গাইবান্ধা থেকে শুরু করে অনেক এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করেছে তারা। পুলিশ কী দোষ করেছে? তারা তো শুধু দায়িত্ব পালন করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা তারা দেবে। আজ তারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। একটি বাসের হেলপার ঘুমিয়ে ছিল, ওই বাসে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
    এর আগে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এটি উদ্বোধন করেন তিনি। আজ রোববার থেকে মেট্রোরেলে চড়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে পারবেন যাত্রীরা। আগারগাঁও-মতিঝিল আংশে প্রথমে তিনটি স্টেশন চালু থাকবে। স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।

    সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এসময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।
    উত্তরার দিয়াবাড়ির ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। মেট্রোরেলের মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ এখনো চলমান আছে।

    বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বরে চালু করা হয়। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নগরবাসী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন মাত্র ৩১ মিনিটে।

    মেট্রোরেলে চড়ে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ মিনিটের ছোট্ট এ ভ্রমণের সময় গণমাধ্যমকর্মী ও সফরসঙ্গীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। শনিবার দুপুর ২টা ৪১ মিনিটের দিকে আগারগাঁও থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেলের বিশেষ ট্রেন। বেলা ৩টা ৬ মিনিটে সেটি মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে আগারগাঁও স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে মেট্রোরেলের টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে দুপুর আড়াইটার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ আগেই চালু করা হয়েছিল।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে সবাই যেন যাতায়াত করতে পারে, কর্মঘণ্টা বাঁচে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন বর্ধিত করছি। জাপান সরকারকে ধন্যবাদ বিনিয়োগ করায়। মেট্রোরেল নির্মাণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

    এর আগে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করা হয়। সে সময় মেট্রো রেলের প্রথম অংশ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ১০ মাস পরে এসে আজ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন করা হল। ২০ কিলোমিটার দূরত্বের উত্তরা-মতিঝিল রুটে কর্মব্যস্ত দিনে লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। যানজটের শহরে জাদুর মেট্রোরেল এ পথ অতিক্রম করবে মাত্র ৩১ মিনিটে।

    আরও খবর

    Sponsered content