• সারাদেশ

    টাঙ্গাইল-আরিচা বরংগাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মান প্রকল্পের কাজ চলছে

      জাহিদ হাসান ২৫ নভেম্বর ২০২৩ , ১০:৩৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    টাঙ্গাইল থেকে নাগরপুর হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের বরংগাইল পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি কম সময়ে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করেছে সরকার। সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ইতিমধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে উন্নয়ন কাজ। এর ফলে খুশী এই সড়কে চলাচলকারীরা।
    ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট এড়িয়ে, সহজে ও দ্রুততম সময়ে, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা যেতে এবং আরিচা হয়ে দেশের দক্ষিনবঙ্গে যেতে অনেক যানবাহন চালক ও যাত্রীরা এই সড়কটি ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকটাই সরু ও ভাঙ্গাচোড়া হওয়ার ফলে, দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় জনগনের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে, সরকার এই সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। দরপত্র আহবান, জমি অধিগ্রহণসহ সকল প্রক্রিয়া শেষ করে ইতিমধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্পে একাধিক সেতু, কালভার্ট, আন্ডারপাস ও পানি নিষ্কাসনের জন্য দীর্ঘ ড্রেন নির্মান, সড়ক প্রশস্তকরনসহ বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে এখন। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এ প্রকল্পের কাজ। এ কারনে খুশি এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক, যাত্রী ও এলাকাবাসী। দীর্ঘদিনের দাবী পুরণ করায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
    টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পের টাঙ্গাইল অংশের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। শিডিউল অনুযায়ি যথাসময়ে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মান কাজ শেষ হলে দেশের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো একটি মাইলফলক হবে।
    এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক এই মহাসড়কের নির্মান কাজ শেষে পরিপুর্ণভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হলে টাঙ্গাইলের মানুষ খুব সহজেই আরিচা হয়ে দক্ষিনবঙ্গে এবং দক্ষিন বঙ্গের মানুষ উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ার ফলে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্প প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। এর ফলে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নয়ন হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content