আজকের খবর ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ১:৫৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃআওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সন্তান,পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় ও নিজস্ব লোক উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা কারো পক্ষে কাজও করতে পারবেন না।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক করেন। বৈঠকে এ ধরনের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয় এবং পরে তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গনমাধ্যমে এ বিষয়টি ব্যাপক প্রচার হলে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০ টায় সুবর্ণচর প্রেসক্লাবে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মরহুম স্পিকার আব্দু্ল মালেক উকিলের সন্তান,সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার,ইকবাল মাহমুদ সোহেল,যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা সোহেল প্রমূখ।
বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি সময় উপযোগী তার সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই, যারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তারা আওয়ামলীগের নেতা কর্মি হতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে বলেছেন যদি ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে না আসতো তাহলে সংসদ অকার্যকর হয়ে যেতো এবং আমরা সরকার গঠন করতে পারতাম কিনা আমি জানিনা।
আমরা আরো খেয়াল করেছি সারা দেশে যারা এমপি আছেন মন্ত্রী আছেন তাদের আরো চাই। তাদের ছেলে মেয়েকে, স্ত্রীকে ও তারা উপজেলার চেয়ারম্যান বানাতে চায়, তাদের এই ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু হয়েছে তার প্রমান কাছুদিন আগে আমরা সুবর্ণচরবাসী প্রত্যক্ষ করেছি আওয়ামিলীগের এক ত্যাগি নেতা প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে নিয়ে ২/৪ টি কথা বলায় তার ওপর নৃশংস হামলা করা হয়েছে তিনি আদৌ বেঁচে ফিরবেন কিনা আমরা জানিনা।
যদি কেউ শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করেন ধরে নিতে হবে তিনি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্চ করলেন।
সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি দলের জন্য,দেশের জন্য,জনগণের জন্য একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত, যারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তাদের আওয়ামীলীগ করার কোন অধিকার থাকবেনা। আমরা দলের মধ্যে কোন বিশৃঙ্খলা চাইনা।
উপস্থিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।