• সারাদেশ

    দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে হু হু করে বারছে ঠান্ডা কদর বারছে লেপ তোষকের

      শফিকুল ইসলাম সোহাগ, দিনাজপুর ঃ ১১ নভেম্বর ২০২২ , ৬:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    দেশের উত্তরের জেলা আবার হিমালয়ের পাদদেশ ঘেঁষা হওয়ায় দিনাজপুরের মানুষ শীতের অনুভূতি একটু বেশি পেয়ে থাকে। দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে শীত কিন্তু পড়েই গেছে। সূর্যাস্তের সাথে সাথে শীত পড়তে থাকে। রাত যত গভীর হয় শীতের মাত্রা তত বৃদ্ধি পায়। সন্ধ্যার পর খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাহিরে থাকে না। শীত বৃদ্ধির সাথে সাথে কয়েকদিন ধরে লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা আর কারিগরেরা ব্যস্ত সময় পার করছে।

    শীতের এই আগাম বার্তার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী কারিগরদের ফিরে এসেছে কর্মব্যস্ততা। কম্বলের চাইতে লেপের দাম কম ও এটি বেশি আরামদায়ক হওয়ায় ক্রেতারা লেপের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।

    দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন যায়গায় দেখা গেছে, কারিগররা লেপ-তোষক তৈরিতে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের পাশপাশি ক্রেতা সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শীত খুব বেশি পড়ার আগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।

    দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ ততই বেশি বাড়ছে। শহর ও গ্রামের মানুষ নতুন নতুন লেপ তৈরি করছেন। বছরের অন্যান্য সময় এসবের বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেশি।

    বছরের প্রায় আট মাস অলস সময় কাটে কারিগরদের। কেউ অন্য কোনো ব্যাবসা কিংবা কেউ কেউ অন্য কাজকরে জীবিকা নির্বাহ করল। তবে তাদের মূল পেশা লেপ তোষক তৈরি শীতের মৌসুমের শুরুতে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ে কারিগররা। এবার লেপ-তোষকের বেশি কেনাবেচায় খুশি ব্যবসায়ী ও কারিগররা।

    পার্বতীপুর উপজেলার আমবাড়ি বাজারের কারিগর আলমগীর বলেন, কয়েকদিন ধরে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। কারণ শীত যত বেশি পড়বে লেপ-তোষকের চাহিদা তত বেশি হবে। লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হচ্ছে। একজনে একজন কারিগরকে ৮ থেতে ১২ টি লেপ-তোষক তৈরী করতে হচ্ছে। একটা লেপ তৈরি করতে মজুরি পাই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

    লেপ-তোষক কারিগর ওমর ফারুক বলেন, বছরের প্রায় আট মাস তেমন বেশি কাজ থাকেনা । তাই এখন শীত কাল কাজের সুযোগ বেশি, আয়-ইনকামও বেশি। তাই চার মাসের কাজের পারিশ্রমিক দিয়ে আমাদেরকে বাকি আট মাস চলতে হয়।

    আরও খবর

    Sponsered content