• সারাদেশ

    সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ ঘাটে ফিরছে নোয়াখালীর হাতিয়ার জেলেরা

      আজকের খবর ২১ মে ২০২৪ , ৭:০২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ আবুল বাসার,নোয়াখালী,প্রতিনিধিঃসমুদ্রে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই গভীর সমুদ্রে সকল ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়ায় তীরে ফিরেছেন জেলেরা।
    হাতিয়ার সূর্যমুখী ঘাটের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জবিউল বলেন, ‘হাতিয়ার ৪০টি ঘাটের প্রায় ৫ শতাধিক বড় বড় মাছের ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ট্রলার রাতেই ঘাটে ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে ট্রলার শনিবার ও রোববার ঘাটে ফিরে এসেছে। এ বছর ইলিশ মৌসুমের প্রথমে এ-নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলেরা।৬৫ দিন সবাইকে তীরে থাকতে হবে। অনেকে বেকার সময় পার করবেন।’
    চেয়ারম্যান ঘাটের কয়েকজন জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তাই আর সাগরে যাবেন না। আগামী কয়েক দিন জাল বোনার শ্রমিক হিসাবে ঘাটে থেকে উপার্জন করতে হবে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর তারা আবার সাগরে যাবেন।
    জেলেরা আক্ষেপ করে জানান, ইলিশ মৌসুমে ৬৫ দিনের এ-নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য আর্থিক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
    এ বিষয়ে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাটের আড়ৎদার ট্রলার মালিক মোঃ আকবর হোসেন বলেন ‘হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করার মতো ট্রলার রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। এসব ট্রলারে ২০ জন করে হলে ও ১০ হাজার জেলে এ-নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এতে ১০ হাজার জেলে সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবার নিয়ে চলা অনেকটা কঠিন হবে। আবার এসব জেলের অনেকের নিবন্ধন না থাকায় সরকারি সুবিধাও পাবেন না।’
    যদিও জেলেদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে দাবি করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, ‘হাতিয়ার অনেক ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। এ ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে যা আগেই জেলেদের অবহিত করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ঘাটে গিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সাথে কথা বলে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।’
    প্রসঙ্গত হাতিয়ায় প্রায় লক্ষাধিক লোক জেলে পেশার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার।

    আরও খবর

    Sponsered content