• সারাদেশ

    খানজাহান আলী মাজারের কুমিরের মৃত্যু

      বাগেরহাটে প্রতিনিধি ২০ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৩৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    বাগেরহাটের ঐতিহাসিক হযরত খান জাহান (র.) এর মাজারের দিঘিতে থাকা দুটি মাদ্রাজি কুমিরের একটি মারা গেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে দিঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে পুরুষ কুমিরটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসনকে জানায় স্থানীয়রা। পরে বিকেলে দিঘি থেকে কুমিরটির মরদেহ তোলা হয়।

    কুমিরটির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোহর চন্দ্র মন্ডল।

    ১৪ শতকের প্রথম হযরত খানজাহান এই দিঘিতে ‘কালাপাহাড়’ ও ‘ধলাপাহাড়’ নামে দুটি কুমির ছাড়েন বলে প্রচলিত রয়েছে। সেই থেকে কুমির এই মাজারের ঐতিহ্য। পরে ২০০৫ সালে ভারতের মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে এই কুমির এনে এখানে ছাড়া হয়েছিল। এখানকার কুমির দেখতে দেশ-বিদেশের হাজারো দর্শণার্থী নিয়মিত বাগেরহাটে আসেন।

    মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, ‘কুমির আটকে রেখে মানুষের কাছ থেকে পয়সা নেওয়া হতো। প্রায় ৭-৮ মাস ধরে মুস্তাফা ফকিরের পুকুরে আটকানো ছিল কুমিরটি। এতদিন ধরে কুমির এক জায়গায় থাকে না। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগও করেছি। এই কুমির মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

    কুমিরটির মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য মোস্তফা ফকিরের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার স্ত্রী শাকিলা বেগম বলেন, ‘দুপুরে দীঘিতে আমার ননদ কুমিরটির মরদেহ ভাসছে দেখে আমাকে জানায়। কীভাবে কুমিরটি মারা গেছে সেই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কুমিরটি এতদিন আমার স্বামী মোস্তফা ফকিরের দায়িত্বে ছিল তিনি গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়া গেছেন।’

    বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখানে মাদ্রাজ থেকে আনা দুটি কুমির ছিল। এর একটি বড় ও অন্যটি ছোট। বড় কুমিরটি মারা গেছে। কুমিরের ময়নাতদন্ত করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content