• সারাদেশ

    সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা দমনে ‘আলোর ফাঁদ’

      এস এম শাহাদাত,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১০:০৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    পোকা দমনে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘আলোর ফাঁদ’সাতক্ষীরা জেলার
    কালিগঞ্জ উপজেলায় দক্ষিণ শ্রীপুর ও কুশুলিয়ায় একযোগ ইউনিয়নের ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আমনের খেত সুরক্ষায় আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করেছেন। এতে পোকা দমনসহ ক্ষেতে ক্ষতিকর কি ধরনের পোকা রয়েছে, তা শনাক্ত করা যাচ্ছে। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা দমন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ও কুশুলিয়া ব্লকে ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করা হয়। ধান পাকার আগ পর্যন্ত ক্ষেতে ওই আলোর ফাঁদ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।দক্ষিণ শ্রীপুর ও কুশুলিয়া গ্রামের ২ টি আমনের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের জমির পাশে তিনটি খুঁটি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক বাতি ঝোলানো হয়েছে। বাতির নিচে একটি পানির পাত্র রাখা হয়েছে, পাত্রে ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি। বাতি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফসলের জমির বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা এসে নিচে রাখা পানিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। এভাবেই আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। বৈদ্যুতিক বাতি, চার্জার ও সৌরবাতি দিয়ে এই কাজ করা হয়। দক্ষিণ শ্রীপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ আবু লতিফ শামসুজ্জামান বলেন, এরই মধ্যে কিছু কিছু গাছে শীষও বের হয়েছে অনেক জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এই সময়ে ধানে বাদামি ঘাসফড়িং (কারেন্ট পোকা), সবুজ ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধি পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে। পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে আমন খেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহার শুরু করা হয়, আর চলবে ধান কাটা পর্যন্ত।
    তিনি আরও বলেন, কৃষকেরা ক্ষতিকর পোকা দমনে ধানক্ষেতে সাধারণত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন এতে কৃষকের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়। এ কারণে পোকা দমনে আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কোনো খরচ নেই। তিনি বলেন কারেন্ট পোকার আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে খেতের ধান বিনষ্ট করে ফেলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শ্যামল কান্তি মন্ডল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার শেখ আবু লতিফ শামসুজ্জামান, কুশুলিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাহার হোসেন সহ গ্রামের কৃষক।

    আরও খবর

    Sponsered content