গত কয়েক দিনের বৈরি আবহাওয়া ও বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে শত শত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তিন দিন আগে তারা সাগরে মাছ ধরতে যায়। উত্তাল সাগরে জাল ফেলতে না পেরে ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে। এ বছর কয়েকবার নিম্নচাপ ও বৈরি আবহাওয়ার জন্য সাগরে মাছ ধরতে না পেরে খালি ফিশিং ট্রলার নিয়ে ফিরে আসে জেলেরা। এতে জেলেদের পাশাপাশি লোকসানের মুখে পড়ছেন মহাজনেরা।

শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, গত রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় দমকা বাতাস বইতে থাকে। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের কচিখালী, কটকা, সুপতি, ভেদাখালী, দুবলার মেহের আলী, আলোরকোল খালসহ উপকূলের উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি জানান, সাগরে মাছ ধরতে ফিশিং বোট পাঠাতে একেকটির পেছনে কমপক্ষে তিন চার লাখ টাকা ব্যয় হয়। দশদিনের ব্যবধানে সাগরের আবহাওয়া দুই দফা খারাপ হওয়ায় জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। ফলে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে জেলে ও মহাজনদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের ভেদাখালী খালে আশ্রয় নেয়া বাগেরহাটের বগা এলাকার ফিশিংবোট ‘এফবি সালমা’র মাঝি দুলাল ব্যাপারি মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, রোববার সন্ধ্যা থেকে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ে। প্রবল ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়ায় সাগরে টিকতে না পেরে বেশ কিছু ফিশিংবোট ভেদাখালী খালসহ আশে পাশের খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহাবুব হাসান ও স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে জেলেরা ফিসিং ট্রলার সহ আশ্রয় নিয়েছে বলে স্টেশন ও ফাঁড়ি থেকে খবর মিলেছে।