আজকের খবর ডেস্ক ২৬ মার্চ ২০২৪ , ২:২৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আজকের খবর ডেস্কঃঅস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ৩৬ ঘণ্টা ড্রেনে আটকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। তারপর কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস তাকে উদ্ধার করেছে। এ সময় তার শরীরে কিছুটা ক্ষত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তীব্র ঠাণ্ডায় তার কিছু সমস্যা হচ্ছিল। ব্রিসবেনে ড্রেনের ফাঁক দিয়ে তার মোবাইল ফোন পড়ে যায়। সেই ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজে ড্রেনে পড়ে যান। কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না। এর ৩৬ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
তিনি ড্রেনে পড়ে যান রোববার। বিষয়টি বাইরের দুনিয়ার কেউ জানতেই পারেননি।
অবশেষে পার্শ্ববর্তী অধিবাসীরা মাটির নিচ থেকে মানুষের আর্তনাদ শুনতে পান। তারা সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ব্রিসবেন রিভারের পাশে ক্যাঙ্গারু পয়েন্ট এলাকায় ইমার্জেন্সি বিভাগে ফোন করেন। বিষয়টি জানান। এর আগে একজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আটকে পড়া ব্যক্তি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বলেন, তিনি ভাল আছেন। একই ব্যক্তি যখন পরের দিন ওই ব্যক্তিকে সেই ফাঁদে আটকে থাকতে দেখেন, তখন তিনি ইমার্জেন্সিতে ফোন করেন। তারা উপস্থিত হয়ে ড্রেনের ঢাকনা সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এরপর তিনি ইমার্জেন্সি সার্ভিসকে বলেন, ৩৬ ঘন্টা তিনি ওই ড্রেনের ভিতর উপায় খুঁজতে হাতাহাতি করছিলেন। মাঝে মাঝে শরীরের বেশির ভাগ অংশ পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। কখনো স্রোতা পানির বিরুদ্ধে তাকে টিকে থাকতে হয়েছে। এ সময়ে ওই ড্রেনের পানিই পান করেছেন। অবশেষে ড্রেনের উপরদিকে একটি ঢাকনা দেখতে পান। সেখান দিয়েই তিনি সাহায্যের জন্য আহ্বান জানাতে থাকেন।
কুইন্সল্যান্ড অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র বলেছেন, ওই ব্যক্তির শরীরের এখানে ওখানে ক্ষত হয়েছে। তবে ঠাণ্ডায় তার ক্ষতি হয়েছে বেশি। কিন্তু বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির গাড়ি রোববার পুলিশের গাড়িতে আঘাত করেছিল। এরপর থেকে তিনি নিজে আত্মগোপন করতে ওই ড্রেনের ভিতর লুকিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার স্টিফ গোলশ্বেওয়াস্কি বলেন, মাঝে মাঝে মানুষ এমন সব অদ্ভুত কাজ করে যে তাতে বিস্ময় সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উদ্ধার করা ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি তাদেরকে তদন্তে সহায়তা করছেন।
ওদিকে গোল্ড কোস্ট কাউন্সিল ওয়েবসাইট সব সময় অধিবাসীদের ড্রেন, পাইপ এবং ম্যানহোল থেকে দূরে থাকার সতর্কতা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এসব বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।