আজকের খবর ২১ আগস্ট ২০২৪ , ১:২৩:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধিঃ মোস্তাক আহমদ মোস্তফাঃসিলেটের প্রথম বেসরকারি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্টান লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি (বিক্ষোভের ভাষায়, স্বৈরাচারের দোসর) আজিজুল মাওলা ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক কে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ই আগষ্ট ২৪ ইংরেজি রোজ রবিবার বেলা ২ টায় ভার্সিটি ক্যাম্পাসে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হঠাৎ স্ব,শরীরে এসে উপস্থিত হন ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর আলহাজ্ব সৈয়দ রাগীব আলী, এসময় শিক্ষার্থী সহ কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ ভিসি আজিজুল মওলা ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক,র পদত্যাগ দাবীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি সমন্ধে অবহিত করেন, এবং ট্রাষ্টি বোর্ডের সভা ডেকে তাদের কে অপসারণ করার দাবী তুলে ধরেন।
এসময় জনাব রাগীব আলী তাদের সব অভিযোগ মন দিয়ে শুনেন এবং তাদের সাথে সহমত পোষন করেন, এ প্রেক্ষিতে আজ ২০,৮,২৪ মঙ্গলবার মধ্যাহ্ন ট্রাষ্টি বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় তা নিম্নে হুবহু বিবৃতি টি প্রকাশ করা হলো।
লিডিং ইউনিভার্সিটি রাগীবনগর, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট
তারিখ: ২০/০৮/২০২৪ খ্রি.
বিবৃতি:……………………………….
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, লিডিং ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অনাস্থা প্রস্তাব এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির প্রেক্ষিতে আজ ২০/০৮/২০২৪ ইং তারিখ অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ২৬তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মওলা ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিককে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাঁদেরকে অপসারণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের নিকট অনতিবিলম্বে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি অনুযায়ী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উপাচার্য ও ট্রেজারার মহোদয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো এবং ২০/০৮/২০২৪ ইং তারিখ থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। নতুন উপাচার্য নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব ড. সৈয়দ রাগীব আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন।
বিভিন্ন অনুষদের ডীনগণ ও রেজিস্ট্রার সন্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের উপদেশ ও পরামর্শ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পরিচালনা করবেন।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লিডিং ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষা-কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
একইসাথে, দাবি পূরণ হওয়ায় লিডিং ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে অবিলম্বে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
অধিকন্তু, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
পরিশেষে, দাবি পূরণ হওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে ট্রাস্টি বোর্ড প্রত্যাশা করছে। লিডিং ইউনিভার্সিটির সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
ড. সৈয়দ রাগীব আলী
চেয়ারম্যান বোর্ড অব ট্রাস্টিজ লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট
প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকদের মধ্যে যারা উপস্থিত ছিলেন, জেহাদুল ইসলাম মনি, হালিমা বেগম সহ অনেকে।
সাধারন শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্যতম যারা উপস্থিত ছিলেন, তোফায়েল আহমদ, রাফি, মাহবুবুর রহমান শান্ত, ইরতিজা দোহা, রাকেশ।
এলাকাবাসীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন, কামাল আহমদ শিশু, আব্দুর রকিব, এনামুল হক মাক্কু, মুহিবুর রহমান মুহিব, হেলাল আহমদ, জালাল আহমদ, শওকত আলী, আং হক, আখদ্দুছ আলী, গিয়াস উদ্দিন সাদি, আতিকুর রহমান, প্রমুখ।